শিক্ষককুলের লজ্জ্বা এবং আমজনতার ভিন্ন অবস্থান
শিক্ষক, শিক্ষা, সমাজ, রাজনীতি এবং জাতী।
একটি আরেকটির সাথে সম্পূরক যোগাযোগ আছে। আমি আলোকিত, আমার কিছু শক্ত শিক্ষকের হাতের বেঁতের আঘাতে, কিছু শিক্ষকের নেতিবাচক উক্তিতে যাতে নিজের মধ্যে মনুষ্বত্ব উদিত হয়েছিল।
আমরা যারা পেছনের সারির শিক্ষার্থী তারা বরাবরই শিক্ষকদের প্রতি একটু বেশি শ্রদ্ধা এবং বিশ্বস্ত। হয়তঃ আমাদের মগজের গোবরগুলো উর্বর হতে না দিয়ে এগিয়ে যেতে প্রেরণা দিয়েছেন এ কারণেই, অথবা গরুকে মানুষ করার চেষ্ঠায় কোন ছাড় দেননি অথবা আমাদের উপর বিশ্বাস রেখে সর্বোচ্চটি বের করে এনেছিলেন।
আজকের এ লেখাতে অনেক ছোট ভাই, পরিচিত এবং ক’জন শিক্ষক মনে কষ্ট পেতে পারেন। আমি চেষ্ঠা করব আমার কলমের লেখা ব্যবহারে অনেক যত্নবান হতে। যাতে, লেখায় বিশ্লেষণ ছাড়া আঘাত বা কষ্টের সুযোগ তৈরী না হয়।
আমি সব সময় বলে আসছি, আমার পরিচিত, পরিজন, বন্ধু-বান্ধব সবাইকে সমান ভাবেই ভালবাসি। কাওকে উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে কষ্ট দেওয়া অভিপ্রায় নেই, তবুও অগ্রিম ক্ষমা প্রার্থী যদি আমার কথায় আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকেন। আমি নাম, পরিচয় লিখছিনা, যদিও জানি আমার লেখা আপনারা অবশ্যই পড়েন ইচ্ছা, অনিচ্ছায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখে পড়ল আমার এক শিক্ষকের ওয়াল থেকে।
অভিমত কি?
”শিক্ষককে কান ধরালে যদি পুরো জাতীকে কান ধরানো হয়, তবে শিক্ষক ধর্ষণ করলে কি পুরো জাতি ধর্ষক হবে??”
একই শিক্ষকের কমেন্টে: “আমরা এমন একটা জাতি কোন কিছু বিবেচনা করার আগেই রায় দিয়ে দিই। তথাকতিত সেকুলার ও নাস্তিক্য বাদিরা এখন যা বলে তাই আমাদের মানতে হচ্ছে। অন্য ঘটনাকে আড়াল করার জন্য এধরনের কাব্যিক রাচনা, কারন প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় আমাদের শিক্ষক মন্ডলী বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা ইনি হিন্দু বলেই সবাই নতুন করে সেকুলার সেজেছেন এবং পুরো শিক্ষক যাতিকে কলংকিত করার প্রয়াস চালাচ্ছে।”
যে ওয়াল থেকে এই উপরের মন্তব্যগুলো পরিচিতদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, তিনি আমার এমন একজন পূজনীয়, যিনি আমায় সর্বোচ্চটি দিয়েছেন। ছিলেন এক সময়কার প্রগতিশীলদের একজন। হয়ত তিনি হাত বাড়িয়ে না দিলে এইচ.এস.সি এর পর জীবনের দিশা হারাতাম।
এখনো কোন কাজে কক্সবাজার গেলেই উনার পায়ে ধরে সালাম না করলে নিজেকে অপরাধী মনে হয়। আমি উনার মন্তব্যকে ছোট করার দৃষ্টতা দেখাচ্ছিনা।
আমার অভিমত: কোন নিরাপরাধ অপরাধের শিকার হলে, ঐ ব্যাক্তি’র পাশে থেকে সহজ পন্থায় সমবেদনা দেখানো মানবিক। তাকে উপমা স্বরূপ উক্তি, ইংগিত পূর্ণ প্রথায় সহমর্মিতা প্রদর্শণ করা যায়, তাতে তার কষ্ট কিছুটা লাঘব হওয়ার সুযোগ তৈরী হয়। প্রধাণ শিক্ষক ভক্তের প্রতি সহমর্মীতার একটা অংশ এই কান ধরা। এতে বোঝানো হয় আমরা সমব্যাথী।
একজন শিক্ষক যখন কান ধরে, তখন পুরো দেশ কান ধরে কিনা? এটা একটা প্রশ্ন।
আমাদের সমাজ, শিক্ষা ব্যবস্থায় ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন কবিতা, ভাবসম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে শিখানো হয়েছে, শিক্ষায় জাতীর মেরুদন্ড। শিক্ষা পরিচালনা করে শিক্ষকেরা, যে শিক্ষক কান ধরে উঠ-বস করছে তা পুরো জাতীর মেরুদন্ড উঠ-বস করার সমান।
শিক্ষক অপরাধ করেছেন কিনা? করে থাকলে শাস্তির বিধান কি? দেশে কি আইন নাই?
আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র নিজ হাতে আইন তুলে নেওয়ার অধিকার দেয়নি। যদি তাই হত বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬কোটি না হয়ে ৩-৪ কোটির কোটায় থাকত। এখনো মরছে দেশে প্রতিদিন কারণে-অকারণে ০.০০০২ শতাংশ। নিজের হাতে আইন তুলে নিলে এই পরিসংখ্যান হয়ত ০.১-০.৫ শতাংশ ছাড়ত এটা হলফ করে বলতে পারি। উদাহরণ স্বরুপ আফগানিস্থান, সিরিয়া, পাকিস্তানসহ অনেক দেশ। আমরা তাদের সাথে কাজ করি, তাদের বেশির ভাগ অংশ দেশে ফিরে যেতে ভয় পায়। প্রাণ পণে বিদেশের মাটি আকঁড়ে পড়ে আছে। ৭১ আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছে, পরাধীনতা কি ৪২ বছরের নিচে বয়স সীমার মানুষগুলো বুঝতে পারবে কি? তাদের দেশে প্রতিদিন প্রায় ২৫% শতাংশ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে ইচ্ছা অনিচ্ছায়।
পৃথিবীতে কোন দেশ উন্নতির গতিতে পৌঁছাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে জাতী, ধর্ম বর্ণ বিভাজন হতে থাকবে।
আমি হিন্দু, ইউ.ইতে থাকি, প্রায় ৯ বৎসর। কখনো ভূল করে একবারের জন্যও নিজেকে বির্ধমী মনে হয়নি, তবে “বাঙ্গলী” জাতী হিসাবে প্রতিনিয়ত ভুগছি। এটি একটি ইসলাম প্রধান দেশ, একনায়ক তন্ত্র, সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোন কারণে পুলিশ কাওকে ধরলে, স্যার ছাড়া কথা বলেনা, যতক্ষণ তাদের নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছেনা। বিচার বিভাগ আছে বিচারের জন্য, তাই পুলিশের কাজ মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে বিচার বিভাগের দ্বারস্ত করা।
আগেও হয়েছে, বিভিন্ন ধর্মের শিক্ষকদের প্রতি অবিচার। এখন ফেইসবুক আর অন্যান্য স্যোশাল মিডিয়ার কারণে বিষয়টা বড়রুপ ধারণ করছে। সবাই জানতে পারছে, প্রতিটিক্ষণের পরিস্থিতি। তাই ইফেকশনটা একটু বেশি, মাঝে মাঝে মনে হতে পারে এটা বাড়াবাড়ি।
আপনারাই শিখিয়েছেন, ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আগে মানুষের প্রতি অনুরাগী হতে। যদি তা নাই হত, আমি বির্ধমী হয়ে আপনি শিক্ষার জ্ঞান দিয়ে আলোকিত করতেন না। বাংলাদেশে ৭-৯% মানুষ সংখা লঘু, বেশির ভাগ সময় লঘু দন্ডের জায়গায় গুরুদন্ড চলে আসে। মাঝে মাঝে ভাবতে বাধ্য করে সংখ্যা লঘুরা পরাধীন।
আমি ভক্তের দাবীর বিপরিতে একটি জোর অপবাদ অনেককে প্রচার করতে শুনছি, ”পাক-নাপাক”। আমরা হিন্দুরা ৯৯% নিজেদের পরিবারের প্রচলিত শব্দগুলো ব্যবহার পছন্দ করি। সেক্ষেত্রে ঐ শব্দটি উনার ব্যবহারের সুযোগ নেই। ইনভেষ্টিগেশন রির্পোটেও কোন প্রমান মিলেনি। তবে কেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ উনার পক্ষের হয়ে প্রতিবাদ করব না?
দুইদিন আগে এক প্রগতিশীল ছোট ভাই নিচের ওয়ালে লিখেছিল –
”যারা এ'কদিন কান ধরা দিবস পালন করেছেন তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। আমার ক্ষমতা থাকলে ওরে জুতাপেটা করতাম! আমার আল্লাহ ও রাসুলকে যে অপমান করে কথা বলবে, সে যেই হোক না কেন তাঁর কোন মাফ নাই।”
ছোট ভাইটির প্রতিটি পোষ্ট মুগ্ধতার সাথে পড়ি, ভাল লাগে কেউ এগিয়ে যাচ্ছে দেখলে। উপরের লাইনগুলো আমায় উদ্বিগ্ন করেছে তার শিক্ষা এবং প্রগতির পথের অবস্থান নির্ণয়ে।
চিলে কান নিয়ে গেছে শুনে না দৌঁড়ানোর জন্য অনেক কবিতা, ভাবসম্প্রসারণ, গদ্য আমার ছোট বেলা থেকে পাঠ্য বইয়ে পড়ানো হলেও আসল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছ, সুশিক্ষিত করেনি। লেখাগুলো বইয়ে মুখস্থ পড়ে পরীক্ষায় পাশের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
একজন শিক্ষককে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ার আগেই জুতা পেটা করার মন-মানষিকতা, তথা একজন শিক্ষককে জুতাপেঠা করার মানষিকতা জাতীকে প্রগতিশীলতা দিবে কি, সেটাই প্রশ্ন?
আমার এখনো মনে আছে, আমার মুসলিম শিক্ষকদের কিছু অংশ আমায় ঢ্যাডার পোলা বলত, হিন্দুদের মান কমিয়ে কথা বলার একটা অংশ। ”গরুর গোস্ত ন হসত এতাল্লাই ব্রেইন স্লো, ডেইলি গরুর গোস্ত খাইস”। ”তোরার দেবী ওগ্গা আছেদে নয়না, যিবা বিদ্যা বুদ্ধি দে, ইবারে যাই ক’ছনা, তোর মাথাত কিছু ঘিলু দিবাল্লাই।”
কথাগুলো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ছিল, এবার সুদ্ধ ভাষাই বলছি।
”গরুর মাংস খাও না এ জন্য তোমার মস্তিষ্ক স্লথ, প্রতিদিন গরুর মাংস খাবা।” “তোমাদের যে একজন বিদ্যা দেবী আছে তাকে বল তোমার মাথা কিছু মস্তিষ্ক স্থাপন করতে”।
কথাগুলো বহুবার, আমার পরিবার, পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সামনে বলেছেন ঐ শিক্ষাগুরু। কখনো ধর্মীয় অনুভুতিতে লাগেনি। বুঝতাম আমায় নিয়ে তিনি কত যন্ত্রণায় থাকলে উনারা এই ধরণের খারাপ ব্যবহার করতে বাধ্য হতেন। কখনো কখনো বলতেন, বিষ খেয়ে মরতে পারনা? অনেক বন্ধু-বান্ধব ছোট ভাই দেখেছে, স্যারের মাইরের উপর থাকতাম আমি।
সমাজ ব্যবস্থাপনা পাল্টেছে, পাল্টেছে শিক্ষাদানের নিয়ম। মানছি এখন মারা বা কাউকে বকা ঝকা করার অধিকার কারো নায়। সব নিয়ম সমাজে প্রতিষ্টিত করতে প্রয়োজন লম্বা সময়, ধর্য্য, সামাজিক সহাবস্থান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, নম্রতা। আমাদের ভুললে চলবেনা, আজ আমাদের রক্তের গতি বর্জ গতিতে চলমান হলেও, সময় আসবে যখন এই গতি হারাবে। গতিগুলোকে অর্জনেই ব্যবহার করা উত্তম, প্রতিশোধে নয়, কথাগুলো নিজের জন্য তুলে রাখা ছিল।
জন্মের পর আমাদের শিক্ষক আমাদের মাতা-পিতা। কোন শিক্ষককে খারাপ উক্তি করার আগে আমাদের ভাবা উচিত, আমরা আমাদের মাতা-পিতাকে ছোট করছিনাতো? সোজা কথা প্রতিশোধ শুধুমাত্র প্রতিপক্ষকেই ধ্বংস করে করেনা, নিজেকেও ধ্বংস করে প্রতিনিয়ত।
তিন দিন আগে আরেক প্রিয় ছোট ভাই, এক রাজনৈতিক হবু নেতা ছোট ভাইয়ের ওয়াল থেকে-
কিরে ভাইলোক কানে ধরা কি শেষ???
আপ্নেরা সবাই যে হারে কানে ধরে প্রতিবাদ জানাইছেন শুনছি স্যারের নাকি চাকরিটাও গেসেগা।
আসেন ভাইলোক এইবার আম্রা সবাই নিজেদের চাকরি বাকরি যা আছে সব ছাইরা দিয়া,স্যারের চাকরি যাওনের তেব্র প্রতিবাদ জানাই।
কথাগুলো খুব মজা করেই বলছিল। প্রতিকি প্রতিবাদ এবং সমবেদনার ছোঁয়া আমার ঐ ছোট ভাই হবু নেতার মন ছুঁতে পারলো না। তার ভবিষ্যত রাজনৈতিক অবস্থান কি আমরা সাধারণের বেদনার উপশম করতে পারবে এটা বুঝার আছে।
বিভিন্ন সময় আমার তার সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। যথেষ্ট কর্মীক ক্ষমতা থাকলেও নিজের অবস্থান না বুঝে উক্তি বাগ্রতিক অবস্থান তৈরী করেছে।
৯০ শতাংশ দেশের মানুষ নিরিহ, নিপাট ভদ্রলোক, এই একটি কথা মনে না রাখলে রাজনৈতিক নেতারা আদর্শ হারাবে। ভবিষ্যত নেতারা সব সময় মানুষের পক্ষে কথা বলবে এটাই তো আশা, বুঝবে প্রতিকি শব্দের অর্থ ইঙ্গিত। শুধু মাত্র রাজনৈতিক অবস্থান ভিন্ন হলেই যে প্রতিটি কথাকে ভিন্ন ভাবে প্রচারনাই আনতে হবে তা তো নয়।
সাংসদ ওসমান এখন দোটানায়-
সাংসদ এখন সুর পাল্টেছেন। প্রাথমিকভাবে তিনি যদিও বলেছিলেন, তার ভুল হয় তিনি অবশ্যই বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী ক্ষমা চাইবেন। এই কয়দিনে রীতিমত টুপি পড়ে ইসলাম ধর্ম প্রচারে নেমে পড়েছেন। তিনি বলছেন, যে ইসলাম ধর্মকে ছোট করবে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা, এবং তিনি ভুল করেননি।
আসল ব্যপারটা অন্য জায়গায়, প্রথমত তিনি অন্যায় করেছেন, এখন অন্যায় শিকার করলে তার নিজের দল থেকেই শাস্তি অনিবার্য্য। দ্বীতিয়ত ঐ শাস্তিতে আমও যাবে ছালাও যাবে। তৃতীয়তঃ ৯০% মুসলমানের দেশে উনার রাজনৈতিক অবস্থান হবে নিন্মগামী।
এখন শুধু স্রোত্রের বিপরীতে তীরে উঠার চেষ্ঠায় হাতড়াচ্ছেন। যেখানে ১৯মিনিটের কথোপকথনে সাংবাদিককে ৮৪ বার গালিগালাজ করতে পারেন, সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরাও বুঝেন ওনার অবস্থান।
উপসংহার করার কিছুই নায়। দুনিয়াকে পরিবর্তনের কথা বাদ দিয়ে যতক্ষণ আমরা নিজেদের পরিবর্তন করব না, ততক্ষন যাই কিছু হউক কোন ধর্ম, সমাজকে সুখী করতে পারবেনা। পৃথিবীর শুরু থেকে নাস্তিকতা, বিভিন্ন ধর্মের ভিন্ন অবস্থান, সামাজিক শিক্ষার অভাব, পারস্পারিক সম্মান বোধ হারানো, রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নত ছিল, থাকবে। তার মধ্যেও অনেক দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের এখনই সময় এগিয়ে যাওয়া। কাঁকড়ার মত একজন অন্যজনকে টেনে না ধরে সহযোগীতা করতে না পারলে, জাতী হিসাবে আমাদের নাম হয়ত বেশিদিন লাগবেনা পৃথিবী থেকে মুছে যেতে।
বাংলাদেশের ৫% মানুষ সব সময় অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য লাইনে দাড়িঁয়ে রয়েছে। সম্ভবত আমাদের লাইন পরিসংখ্যানে ৫-৬। যারা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন এক একজন, এক একটি সমাজ পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখেন। শুধু ক্ষমতায় কুলোচ্ছেনা, যারা তাদের সাথে আছেন তাদের পরিবর্তনের কোন ইচ্ছা নেই বলে।
বাংলাদেশ দীর্ঘ জীবন লাভ করুক।