top of page

Ljubljana, Slovenia

৩১ জুলাই ২০১৫ - ভিয়ানা, অষ্টিয়া তে দ্বীতিয় এবং শেষ দিন, Ljubljana-তে প্রথম দিন।


৫টা থেকে এর্লাম শুরু হল। আজ একটু তাড়াতাড়ি বের হতে হচ্ছে। গতকাল রাতে ভাল ঘুম হয়নি, কিছুটা বিরক্ত লাগছে। শরীরটা আজ খারাপ মনে হচ্ছে। আমার লজিং লাগেজের চেয়ে হ্যান্ড লাগেজ খুব বেশি ভারী। আমি এই ট্যুরটি প্ল্যান এবং ব্যবস্থাপনা করছিলাম প্রায় ২-৩ মাস আগে থেকে। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জীনিস কিনে রাখছিলাম ছোট এবং বড়। ইউ টিউব থেকে টিপস্ নিলাম, কোন কাপড় পড়া উচিত ইউরোপ ট্রিপে? কোন কোন জীনিসগুলো কিভাবে গুছিয়ে নিতে হবে? কোন প্রসাধন সামগ্রীগুলো সাথে থাকা উচিত? ওষধসহ অন্যান্য টিপস গুলো সংগ্রহ করলাম। এমনকি কাপড়গুলো কিভাবে ভাজ করতে হবে, যাতে ভাজ না ভাঙ্গে।


সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত রাত্রে আসলে ব্যবসার কাজে সময়, ঘুমাতে গেলে মোবাইলে ইউটিউব এ ট্রিক এবং টিপস এ সময় দেওয়াতে আমার বৌ ভিষণ মন খারাপ করেছিল। জানি সে বুঝবে না, কেন আমি এতটুকু সময় দিচ্ছি। কোথাও ঘুরতে যাওয়া এটা আমার জন্য নতুন নয়। তবে ২০-২২ দিনের জন্য ঘুরতে কখনো যাওয়া হয়নি আগে কখনো। ২০০৮ সালে স্কলারশীপে ইন্ডিয়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে তেমন অসুবিধা হয়নি, কারণ আমাদের কালচারের সাথে তাদের কালচার বা জীবনযাত্রার যথেষ্ঠ মিল আছে। বাকী ট্যুরগুলো ২-৭ দিনের মধ্যে, তার মধ্যে ছিল, ট্যুর এবং ট্রেনিং। এবারের ট্যুর টা অনেক বড় সময় নিয়ে; তাই প্ল্যান করার দরকার পড়েছে।

আমি দৈর্ঘ্য সময় ধরে ট্যুরটা প্ল্যান করলেও কেনা কাটা করেছি যাওয়ার ২ দিন আগে, ঈদের ছুটিতে। আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট আবাহম লিঙ্কনের উক্তিটি এখানে কাজে লাগালাম, তিনি বলেছিলেন, “আমাকে যদি কেউ একটি গাছ কাটতে দেয় এবং সময় দেওয়া হয় ৮ ঘন্টা তবে আমি প্রথম ৫ ঘন্টা আমার কুড়ালে ধার দিব এবং পরিকল্পনা করব এটা কাটার সহজ উপায় বার করব, বাকী ৩ ঘন্টা নিব গাছটা কেটে শেষ করতে।” কথাগুলো আমি জানতাম, মানতাম এবং অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। যার করনে আমি অনেকদিন পরিকল্পনা করলেও বাস্তবায়ন করার জন্য সময় নিয়েছি খুব কম সময়। এই কথাটা আমি বলতে চাইনি, হঠাৎ মনে পড়ে গেল। অনেকটা আদর্শের ঝাড় ঝাড়ছি মনে হতে পারে।


যা বলছিলাম, ছোট ছোট জীনিসগুলো খুবই দরকার কোথায় ঘুরতে গেলে। কেউ ভবিষ্যতে ট্যুর প্ল্যান করলে আমি অনুরোধ করব ইউটিউবে কিছু সময় দেওয়ার জন্য। জেনে নিন, কোন দেশে যাচ্ছেন, তাদের কালচার, ট্যুরিষ্ট স্পটগুলো, আবহাওয়া। আমি শেষ মুহুর্ত্বে এসে একটি হাত ব্যাগ কিনেছিলাম। আমার বন্ধু পাবেল ছিল আমার সাথে। সে জিজ্ঞাসা করছিল কেন আমি অনেক পকেটযুক্ত ব্যাগ কিনেছি? কারণ ছিল ব্যাগটি একটু ফ্যাঙ্কি; অনেক পকেট এবং একটু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দামি। আমি সরল উত্তর দিলাম তাকে, যে উত্তরটি তাকে যথেষ্ট বিরক্ত করেছিল। এই ধরণের ট্যুরে এই ধরণের ব্যাগ দরকার। এখন বুঝতে পারছি ঐদিনের সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল। আমার হাত ব্যাগটার ভেতরকার জীনিসের ওজন কমপক্ষে ১৮ কেজি। কিন্তু বাইরে থেকে বুঝার উপায় নেই। এত ওজনের ব্যাগ চাকা ছাড়া উঠালে র্নিঘাত ব্যাগের হাতল দানি ছিড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ব্যাগটা আসলেই শক্তভাবে তৈরী করা। দারুন একটা ব্যাগ। সব পকেট গুলো কাজ দিয়েছে।


ষ্টোরিতে চলে আসি। সকালে নাস্তা সেরে অষ্ট্রিয়ার আরেকটা শহর গ্রাক এ গেলাম, সুন্দর ছোট এবং পরিপাটি শহর। এই শহরেই আরনল্ড সোয়াজনেগারের জন্ম। শহরটিতে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আছে। শহরের মধ্যখানে ছোট গলি ধরে হেঁটেছি প্রায় ৩ কিলোমিটার। ৩ কিলোমিটারে ৩০টা ইভেন্ট দেখেছি কমপক্ষে। সংগীতের শহর মনে হল আমার এই শহরটিকে। প্রতিটি গলিতে কেউ না কেউ গান করছে অথবা ইনষ্টুমেন্ট বাজাচ্ছে। সব মানুষগুলোকে চমৎকার লেগেছে। একটা ইভেন্টের ভিডিও আপলোড করেছি দেড় মিনিটের। একদল তরুণ ভায়োলীন বাজাচ্ছিল, তাদের সবটা দিয়ে। ওদের প্রতিদিনকার আয় ১,০০০ ইউরো বা মাঝে মাঝে তারও বেশি। বছরের ৬-৮ মাস তারা এই ইভেন্টগুলো করার সুযোগ পায়। সবগুলো ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা হয়। জানতে চাইলাম এই বিপুল পরিমাণ অর্থে তারা কি করে। ওরা আমার দিকে ব্যাথিত একটা চাহুনি দিয়ে হাসল। বলল তুমি কি জান আমাদের ইউনিভার্সিটির খরচ কত? প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার ইউরো টিউশন ফি দিতে হয় প্রতিজনকে। তারপর আছে নিজেদের খরচ। আমরাতো মেয়েদের মত দেহ বিক্রি করতে পারিনা, আমাদের হয়ত মেধা বিক্রি করতে হয় নয়তো বা শ্রম। এই শহরের বেশির ভাগ ষ্টুডেন্ট কাজ করছে আমাদের মত শিক্ষার্থীরা, তারা শ্রম বিক্রি করছে। আমাদের দ্বারা শ্রমে কাজ হচ্ছেনা, তাই মেধা বিক্রি করছি। এই কাজটা করে আমরা আনন্দ পাই। আমাদের পড়ার সাবজেক্টও মিউজিক। আমি বলছিনা শতকরা ১০০ ভাগ ষ্টুডেন্ট করছে এই সব কাজ, তবে ৪৫ শতাংশ ত বটেই। ছেলেগুলো চমৎকার ছিল। I loved their music.


গ্রাকে ঘুরতে ঘুরতে খুদা পেয়েছে। খাব বলে ঠিক করলাম, সামনেই একটা ছোট রেষ্টুরেন্ট চোখে পড়ল। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নাই ভেতরটা এতটা বড় হবে। ভেতরে গেলাম, অনেক ব্যস্ত একটি রেষ্টুরেন্ট। অনেকক্ষন দাড়িয়ে থাকার পর একটা বয়স্ক মহিলা এসে জানতে চাইল কি চাই অষ্ট্রিয়ান ভাষাতে। আমি বললাম আমি অষ্ট্রিয়ান ভাষা বুঝিনা, ইংরেজীতে বললে বুঝতে সুবিধা হয়। মহিলাটা এই রেষ্টুরেন্টের মালিক। সে ভেতরে যেতে অভ্যত্থর্না করল। বসার ১ মিনিটের মাথায় একটু সুন্দরী আসল, ম্যানুটা দিয়ে জানতে চাইলি আমি কি খেতে পছন্দ করব ইংরেজীতে। অষ্ট্রিয়ান পেষ্টি/ক্যাক-এর তুলনা বিশ্বে দ্বিতিয়টি নাই। আমি একটা সফট ড্রিংস, একটা স্যান্ডইউচ, ছমুচা টাইপের কিছু একটা, একটা পেষ্টি এবং এক গ্লাস পানি আনতে বললাম।


আমি খুব বেশি মিষ্টি পছন্দ করিনা। চকলেট, আইসক্রিম আমার ফেবারিট, তবে বেশি না, সামান্য খেতেই ভাল লাগে। আজকের পেষ্টি অর্ডারের একটা উদ্দেশ্য আছে। আমার একট বড় ভাই অনেক বেশি পেষ্টি/ক্যাক পছন্দ করেন। আজকের কেকটি উনার নামে খেলাম, আলামিন ভাই ভিষণ পছন্দ করেন এই ক্যাক এবং আমার ইউরোপের ক্যাক খেতে বলেছিলেন। হ্যাঁ আলামিন ভাই আপনার নাম নিয়েই খেলাম। ইমাম্মি। ক্যাকটার সাইজ ছোট বার্থডে ক্যাকের অর্ধেক সমান হবে। ২৫ ল্যায়ারের ক্যাক, অবাক হওয়ার মত, কিভাবে একটি ক্যাকে এতগুলো ভাজ করে ইনগ্রিডিয়ান্টগুলো ডুকানো হয়। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে অসমর্থ এই ক্যাকে কি কি আছে। কোন কোন ফ্ল্যাবার আছে। আমি যখন অর্ডার শেষ করলাম মেয়েটি আমার কাজ থেকে জানতে চাইল, সব কি আমি এখানে খাব, নাকি সাথে কিছু প্যাক করে নিয়ে যাব। আমি বললাম এখানেই খাব। আমিতো আর জানতাম না খাবারগুলোর সাইজ কত। টাকার কথা মাথায় নি নাই, কারণ ক্রেডিট কাড তো আছেই, তাছাড়া, পকেট ভতি ইউরো। হা হা হা... সেন্ডউইচ, মিষ্টি ছমুচা, সফট ড্রিংস শেষে আসল ক্যাকটা। আমার পেটে তিল পরিমান জায়গা ছিলনা। ভাবছিলাম খাবনা। একটা রিস্ক নিয়ে নিলাম, কেকটাকে বিছিরি রকমের করে কাটলাম। তারপর একটা পিস মুখের মধ্যে দিতেই গলে হাওয়া। কখন যে পুরো ক্যাকটা শেষ করলাম আমি নিজেও জানি না। মনে মনে ভাবছিলাম, আজ আমার পেট খারাপ হলে আলামিন ভাইকে সুবিধা মত বকতে হবে। অবশ্য উনিও এখন ইউএস ট্যুরে আছেন। খাওয়া শেষে পেটে যথেষ্ট চাপে শৌচালয়ে প্রয়োজনীয় হালকা হয়ে এলাম। আবার হাটা শুরু করলাম, এবার উদ্দেশ্যে সোজা আমাদের বাস, যেখানে বিশ্রাম নেওয়া যাবে। বিল কত দিলাম তা সত্যেই নগন্য খাবারের তুলনায়। মাত্র ৭:৫ ইউরো সবটা মিলিয়ে।


আমিই প্রথম বান্দা, বাসে বসে সবার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সবাই আমায় বাসের ভিতরে অপেক্ষা করতে দেখে তো তাদের চোখ ছানাবড়া, আমি সহসা সবার পরেই আসি, এটা একটা নিয়মে পরিনত হয়েছিল। দেরি করে আসার কারণে একবার আমাকে বাসে শাস্তি স্বরূপ গানও গাইতে হয়েছিল।


আমি আজকের টাইম সিট দেখিনাই ঠিক মত। বলছিলাম, সকাল থেকে শরীরটা ভাল লাগছিলনা। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম, আমরা ইটালীর দিকে যাচ্ছি। কিন্তু না, টিম লিডারের ব্রিফিং মিস করার কারণে শুনতে পাইনাই। আমরা আজ Ljubljana, লুথিয়ানা (রাজধানী) সিটিতে যাচ্ছি।


এই দেশটির আয়তন ২০,০০০ বর্গকিলোমিটার। মোট জন সংখ্যা ১ মিলিয়নের কিছু বেশি। লুবিয়ানা সিটিতে ১ লাখের মত লোকের বসবাস। ইউরোপের ছোট একটি দেশ। আমার ঠিক মনে পড়ছেনা, আমাদের সিডিউলের মধ্যে এই দেশটি ছিল কিনা। ৩টায় আমরা শহরে এসে পৌঁছালাম, হোটেলে চেক ইন করার পর, ট্যুর গাইডের সাথে বার হলাম ঘুরতে। মোবাইলের দিকে দৃষ্টি পড়তেই কোন সংযোগ পাচ্ছিলামনা, আমার মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে ৬০টা দেশের রোমিং ফেসিলিটি আছে শুধু মাত্র। বুঝতে বাকি রইলনা, এই দেশের সাথে তাদের চুক্তি হয়নি। এই দেশটি সম্পর্কেও আমি তেমন আগে শুনেছি মনে পড়েনা। শহরের সব জায়গা উন্মুক্ত ওয়াইফাই। যথেষ্ট ট্যুরিষ্ট দেখলাম। সব কিছুই মোটামুটি সস্তা।


বেশ কয়েকটি স্টোরি শুনলাম এই শহর সম্পর্কে, তার মধ্যে একটি আমার ভাল লেগেছে। এই শহর ৭০০০ বছর আগে একটি ড্রাগনের বাসস্থান ছিল। তাই এই শহরে কেউ আসতে চাইতোনা, কে হবে ড্রাগনের খাবার। জ্যাসন নামে একজন চোর তার দলবল নিয়ে গ্রীসের সম্পত্তি চুরি করে পালানোর সময় লুথিয়ানা নদীতে আটকে যায়। লুথিয়ানা নদীতে ৭টা খাদ আছে, যেখান থেকে পানি উপরে যায় আবার নিচেও আসে, এই সাত স্রোতের নামে শহরটির নাম করণ করা আছে, আমার মনে নাই লুথিয়ানা ছাড়া বাকী নামগুলো। জ্যাসন ছিল যথেষ্ট সাহসী, তাঁর বড় সৈন্য বাহানীকে লুথিয়ান জনগন অনুরোধ করে এই রাক্ষস ড্রাগনটি বধ করতে। জ্যাসন সাহসীকতার সাথে রাক্ষটা হত্যা করে। এর পর থেকে লুথিয়ানা নদীর পাশে জনপদের সৃষ্টি হয়।


এই শহরটিকে মানুষ অন্য আরেকটা কারণে চেনে। বাইরের দেশের যে কেউ এসে এই দেশের মেয়েকে বিয়ে করতে পারে। তবে শর্ত এই দেশের মেয়েটিকে ওর প্রেমে পড়তে হবে। এক সময় এই শহরের পাশে Be Love খেলা হত। এখন একটু পরিবর্তন এনে Be Loved লেখা হয়। তার মানে শুধু ভালবাসা নয় চিরন্তন ভালবাসার নিড়। দেশটিকে Young Country-ও বলা হয়। ১৯৯১ সাল থেকে এই দেশ স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছে, বয়স হিসাব করলে আমার ছোট ভাইয়ের বয়সের সমান ২৫ বছর। লুথিয়ানা নদীটি প্রায় সম্ভবত ৪২ কিলোমিটার লম্বা এবং ১০টা ব্রিজ রয়েছে, এক পাড় থেকে অপর পাড়ে যাওয়ার জন্য। দেশটিতে ইউরো চলে, তবে তাদের নিজেদের ইউরোও আছে। তাদের ইউরোতে সব ঠিক আছে, শুধু মাত্র নিচের দিকে একটি ছোট সিম্বল আছে। তার মানে এই নয় শুধু তাদের ইউরো চলে এখানে, এখানে সব ধরণের ইউরো চলে। এটা একটা সিম্বল তারা তাদের ইউরোতে রেখেছে তাদের সহাবস্থানের জন্য।


গরমের সময় প্রতি শুক্রবার কিচেন ফেস্টিবাল হয় ষ্টার পার্কের পাশে। অর্থাৎ এখানকার নাম করা সব ক্রজিন রেষ্টুরেন্ট তাদের খাবার সস্তায় বিক্রি করে। শহরের মাঝখানে একটি পার্ক আছে, যেটা ষ্টার পার্ক নামে পরিচিত। উপর থেকে দেখতে অনেকটা ষ্টারের মত। ঘুরার সময় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ষ্ট্যাচু দেখলাম। শহরের পাহাড়ের উপরের অংশে একটি ক্যাসল/প্রাসাদ আছে। যেটি প্রথমে তৈরী হয়েছিল দেশ রক্ষার শিবির হিসাবে, পরে রাজারা থাকত এর পর এটিকে বানানো হয় জেল, এর পর ধনী ব্যক্তিরা থাকতে শুরু করে এবং ১৯৭০ সালের দিকে গরীব অসহায়রা এখানে আশ্রয় নেওয়ার পর থাকা শুরু করে। বছর দশেক আগে সরকার এটির সংস্কার করে টুরিষ্ট স্পট হিসাবে চিহ্নিত করেছে।


আমি অনেক বেশি ক্লান্ত ছিলাম, তাই আর বেশি ঘোরা ঘুরির খায়েস মনে জাগেনি। আমার নিজের রুমে গেলাম, একটু পরিচ্ছন্ন হলাম। ৭টা নাগাদ খাবার দেয়া হয় রেষ্টুরেন্ট-এ। খেলাম চুপচাপ করে। কোন কথা বললাম না। রুমে গিয়ে কাপড় বদলে শুয়ে পড়লাম। ভাবছিলাম রাত ১০টা নাগাদ উঠে ফেসবুকের জন্য লেখা শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ব। কিন্তু আর উঠা হলনা। রাত দু’একবার জাগা পাই, তখন ঘড়িতে রাত ২টা। সকালে What’s up-এ এক বন্ধু দুষ্টামি করে ম্যাসেজ পাঠালো, কাল তোমার কোন পোষ্ট দেখলাম না। তার মানে কি এই নয় তোমার লিখার ভান্ডার খালী হয়েগেছে। যাই হোক, সে হয়তঃ এই পোষ্টটা দেখে খুশি হবে।


Featured Posts

Recent Posts

Archive

Search By Tags

Follow Me :

  • Blogger Social Icon
  • LinkedIn Social Icon
  • Facebook Basic Square
bottom of page