Vienna, Austria
৩০ জুলাই ২০১৫ - Hungary (Budapest city) শেষ দিন, Vienna, Austria –এতে প্রথম দিন।
সকালে একটু ঘুম থেকে দেরি করে উঠলাম। চোখ ফুলে ডোল হয়ে আছে, সূর্যের দিকে তাকাতে পারছিলাম না। কোন রকম নাস্তাটা শেষ করে বাসে গিয়ে বসলাম। খুবই ক্লান্ত লাগছিল। তেমন বেশি দৌড় ঝাপতো করিনি। তবে প্রতি রাতে বিছানা বদলানোর কারণে ঘুমটা ঠিক মত হচ্ছেনা। এ ব্যারামটা আমার ছোট বেলার, একটু জায়গা বদলালে ঘুমাতে কষ্ট হয়। আমার ঘরে কেউ নাক ডাকলে আমি খুবই বিরক্ত হই। আমি নাক ডাকলে সে বিষয়ে অবশ্য কারো কথা শুনিনা। আমার বৌ এই বিষয়টা ভালই সহ্য করতে পারে। আমার বাবা-মা, শ্বশুর মোটামুটি সবাই সমান তালে নাক ডাকে। আমি মাঝে মাঝে নাক ডাকি, যখন বেশি ক্লান্ত থাকি বিশেষ করে সেই সময়। এমনো সময় আছে; আমি আমার নিজের নাক ডাকা শুনে ঘুম থেকে উঠে গেছি। হা হা হা।
আজকের সকালটা সুন্দর, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। ঠান্ডা বাতাস, পরিবেশ ২২ ডিগ্রির মত। নিশ্বাস নিতে দারুণ লাগছে সকাল ৬;৩০ মিনিটে। আজ শ্রীলঙ্কান রুম মেটের উপর দারুন চটে গেছি সকাল সকাল। হোটেল থেকে তাওয়েল দেওয়া হয়েছে দুটো, সে দুইটাই ব্যাবহার করে ফেলেছে। এখন স্নান করব ঠিক আছে, গা মোছা যাবে, কিন্তু মাথা মোছার মত সঠিক কাপড় আমার কাছে ছিলনা। আর যা ছিল সেইগুলো ভিজানোর মানষিকতা ছিলনা। সাধারণত হোটেলে ২ জনের জন্য ৪টা তাওয়েল দেয় একদিনের জন্য, এটাই ষ্ট্যান্ডার্ড নিয়ম। ডিলনের দিকে ভয়াবহ একটা চাহুনি দিলাম, বেঁচারা রিসেপশনে দৌড়াতে চাচ্ছে নতুন তাওয়াল জোগাড় করতে, আমি একটু শান্ত হয়ে মানা করে দিলাম। একবারইতো ভুল করেছে, এই রকম ভুল আমরা হাজারটা করি। গোসলখানায় চুল শুকানোর যন্ত্র থাকাতে বেঁচে গেলাম।
এই ট্যূরে আমরা যতটুকু সুযোগ সুবিধা নিচ্ছি, মাঝে মাঝে মনে হয় তার ৫০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। আমি এশিয়ান, যেকোন জায়গায় নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি, নিজেকে এডজাষ্ট করা আমার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু ব্রিটিশ, অষ্ট্রেলিয়ান এবং আমেরিকান এরা সামান্য একটু ত্রুটি হলেই চিৎকার করে পুরো বিশ্ব একজায়গায় নিয়ে আসে। তাদের আরেকটি ষ্ট্রেটাজি হচ্ছে, কোন সমস্যা হলে জানাবে, সময় দিবে, তাতে কাজ না হলে অভিযোগ করবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে; এরপর শুরু ফাইনাল ড্রামা। ওহ্ ফিরে আসি সুযোগ সুবিধার কথায়। আমি অনেক হিসাব করে দেখলাম আমি একা এই ট্যুরে আসলে ৫০ শতাংশ টাকা বেশি খরচ হত। এই ৫০ শতাংশ কথাটা শুধু টাকা নয়, পরিশ্রম, তথ্য যোগাড় করা, নিজের মত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী করা। সব হোটেলগুলো ৩-৪ ষ্টার মানের, খাবার ১ বেলা দিনে মাঝে মাঝে ২ বেলা, দারুন সব ক্রজিন। অবশ্যা আমরা নিজেরাও অপশনাল খাবারের খরচ দিই। তারপরেও সময় মত ব্যবস্থা করা কঠিন বিষয়। বুকিং থেকে শুরু করে সময় মত পৌঁছানো, পুরো প্রশাসনিক সমস্যা থেকে মুক্তি। ট্যুর গাইডগুলো চমৎকার শুধু আজকে যেটা অষ্ট্রিয়াতে লোকাল পেলাম এইটা ছাড়া। আমাদের ২টা ট্যুর গাইড, একটা সব সময় সাথে থাকছে, অন্যটা লোকাল। যেই দেশে যাচ্ছি ওখান থেকেই আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে। অষ্ট্রিয়ানরা জার্মানদের মায়ের পেটের ভাই। জার্মানদের সাথে আমার কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। আবুধাবীতে ফাইনানসিয়াল টাওয়ার ব্যবস্থাপনায় আমি দাজমান কোম্পানীর সাথে কাজ করেছি। দাজমান একটি জার্মান কোম্পানী, প্রডাশন কাজে তাদের জুড়ি মেলা ভার। ওদের কাজ, সময় এবং কাঁচা মাল দাও। তুমি সময় মত তাদের কাজ থেকে কাজ বুঝে নাও। এটাই তারা বুঝে; অনেকটা রোবোটিক টাইপের মানুষ। জার্মানরা সার্ভিস অর্থাৎ সেবা মূলক কাজগুলো ভাল করতে পারে না। পারার কথাও নয়, ওদের কণ্ঠস্বর করকষ এবং রাগান্বিত সমসময়। আমি যখন তাদের সাথে কাজ করছিলাম, আমার এক পরিচিত বন্ধুকে বলেছিলাম জার্মানরা এই প্রজেক্ট রাখতে পারবেনা। আমরা যে ধরণের কাজ করি তা সেবামূলক। কিন্তু তারা যেভাবে কাজ চাচ্ছে তা প্রডাকশন বেসে। অবশ্য কিছু সময় পর আমরা ওদের সাথে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ওরাও ঐ প্রজেক্ট থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
আজ আমার সেই দিনগুলোর কথায় মনে পড়ছিল। আজকে আমাদের লোকাল ট্যুর গাইডের সাথে সিডিউল ছিল ৪ ঘন্টার মত। তাকে চার ঘন্টার জন্যই ভাড়া করা হয়েছিল। আমরা যারা এখানে ঘুরতে এসেছি গ্রুপে পুরো পরিবার, বুড়ো, বাচ্চা এবং যুবক/যুবতিতে সমাহার। কেউ আস্তে হাটছিল, কেউ বা ছবি উঠাছিল, কেউ একটু গাছের তলে জিরিয়ে নিচ্ছিল। আমাদের ঐ ভাড়াটে ট্যুর দৌড়াচ্ছিল, ব্যাটার বয়স ৫৫ এর কম হবেনা। সুস্বাস্থ্য, লম্বা চওড়া সাদা চামড়ার শরীরের অধিকারী। আমাদের গ্রুপে আমরা ওকে অনুরোধ করালাম আস্তে আস্তে চলতে, সে ছোটলোকের মত বলল অন্য সব ট্যুর কোম্পানীর লোকেরা ৪ ঘন্টায় পারলে তোমরা পারবেনা কেন। পারলে পার না পারলে নাই, আমাকে ৪ ঘন্টার জন্য ভাড়া করা হয়েছে। আমি ৪ ঘন্টার এক মিনিটও বেশি থাকবনা। আমরাও চটে গেলাম; বললাম কিছু সোজা সাপটা কথা, যদিও কথাগুলো ভাল ছিলনা। যখন ট্যুর শেষ হল, সবাই টিপস্ দেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করল। আমাদের মধ্যে সম্ভবত ৩-৫ জন ওকে সামান্য কিছু দিয়েছে। বাকিরা সোজা ওর মুখের উপর না করে দিয়েছে, ব্যাপারটা ওর জন্য অসম্মান জনক ছিল। টাকাটা বড় ব্যাপার না, সে আমাদের থেকে সম্মানটা কিনতে পারেনা। আমরা এমনকি তাকে সুন্দরভাবে বিদায় পর্যন্ত জানায়নি। আমাদের আগের ট্যুর গাইডগুলো প্রত্যেকে কমপক্ষে একশ পাউন্ড টিপ হিসাবে পেয়েছে তার ভাড়া করা সম্মানী ছাড়া এবং যাওয়ার সময় উষ্ণ অভিনন্দনতো ছিলই।
হিটলারের জন্ম অষ্ট্রিয়াতে। আমি হিটলার সম্পর্কে আমার শেষ লেখার মধ্যে লিখেছিলাম। এখানে আরো এক গুনি জনের জন্ম, আরনল্ড সোয়াজনেগার। আমি ওনার প্রচন্ড ভক্ত, ৮-৯ বছর আগে বডি বিল্ডিং করার সময় উনার ছবির দিকে তাকায় থাকতাম। যদিও আমি বড়ি বিল্ডিংএ সফল কেউনা। সবাই সব কিছু চায়, চাইলেই কি সব অর্জন করতে পারা যায়? তবে আরেকবার চেষ্ঠা করব আগামী ২ বছর পর। এই দুই বছর আমার জন্য অন্য ধরণের অধ্যাবসায় অপেক্ষা করছে, অন্য বিষয় নিয়ে।
১৪-১৫শ সালের মাঝা মাঝি ডাচ্-রা অষ্ট্রিয়াকে তাদের পতকা তলে আনে। রোমানদের শাসনে ছিল অনেক বছর ধরে এই অষ্ট্রিয়াতে। অষ্ট্রিয়া একটি ধনি শহর। এখানকার মুদ্রামান ইউরো, জীবন যাত্রার মান খুবই ব্যয়বহুল। ঘরভাড়া, পানি, বিদ্যুৎ এবং পরিবহন সরকারী প্রশাসনে চলে। তাই ঘরভাড়া, পানির ও বিদ্যুৎ বিল খুবই কম, সাধারণ পরিবহনের জন্য সরকারকে ৩৬৫ ইউরো প্রতিজন দিলেই সব রকম পরিবহন খরচ থেকে মুক্ত এক বৎসরের জন্য। এখন প্রশ্ন আসে তবে কেন এখানকার জীবন ব্যয়বহুল? অষ্ট্রিয়ানরা খাবার এবং পানীয়তে খুব বেশি টাকা খরচ করে। অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনাকে (রাজধানী) মিউজিক্যাল সিটি বলা হয়। এখানে সব সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। অপেরা হাউজে মিশন ইম্পসিবল ৫ এর দৃশ্য নেওয়া হয়। গরমের সময় বেশিরভাগ স্থানীয়রা দেশের বাইরে বেড়াতে চলে যায়।
১৭০০ সালের দিকে অষ্ট্রেয়ার ক্ষমতাসীন এক নারী প্রশাসক সম্পর্কে জানলাম। যিনি অসম্ভব ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন, তার জ্ঞান, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং গ্রহণযোগ্যতা ছিল ঈর্শনীয়। তিনি ২০ বার অন্তসত্তা হয়েছিলেন এবং ১৬ সন্তানের জননী ছিলেন। এই নারীর নাম “মারিয়া তেরেসা”। আমি যখন ওনার সম্পর্কে শুনছিলাম তখন আমার চোখ নাকী বড় বড় দেখাচ্ছিল, আমার এক বড় ভাই আমায় এই ব্যাপারটা নিয়ে অনেক ঠাট্টাও করেছিলেন। অবশ্য আমার চোখ বড় হওয়ার কারণ আছে। এই মহিলা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এতবার অন্তস্বত্তা হলে রাজনীতি কিভাবে করেছেন? যাক এই ধরণের মানুষের কতগুলো অতি মানবীয় গুণ স্রষ্ঠা থেকে পেয়ে থাকেন। হয়তঃ ওনারও তাই ছিল।
আমার আইফোনের হ্যান্ডসেটটা নষ্ট হয়ে যাওয়াতে রাত্রে ৮টার দিকে বের হলাম এরেকটা কিনব বলে। প্রায় ঘন্টা খানিক হাটলাম, বেশিরভাগ দোকন পাট বন্ধ, একটা দোকান খোলা পেলাম। আমার দুটি প্রয়োজন ছিল, এক হ্যান্ডসেট কেনা, যেটা এইখানে দোকানের ভিতর দেখছিলামনা। দুই; দুপুরে খেতে যাওয়া রেষ্টুরেন্টে এক বাঙ্গালির সাথে পরিচয় (ওয়েটার), যে যখন জানতে চাইল কিধরণের পানীয় দিব? তখন আমি তাকে অনুরোধ করি এমন কিছু দিতে যা ওর পছন্দ কিন্তু এলকহল যেন না থাকে। সে এক ধরণের পানীয় আমায় খাওয়াল তার নাম “Almdudlee”। সামান্য লিচুর স্বাধের দারুন এক তাজা রসের ফ্রেভার, এটি শুধু মাত্র অষ্ট্রিয়াতে পাওয়া যায়। আমি পর পর দুটি পানীয় গ্রহন করি এবং নামটাও লিখে আনি। সে আমাই বলেছিল যেকোন স্থানীয় দোকানে নামটা দেখালে আমি এই পানিয়টা পাওয়া যাবে। দোকানদারকে দেখালাম, সে ডেস্ক থেকে উঠে আমায় পানিয়নি খুঁজে দিল। দোকানের ক্যাশিয়ার থেকে জানতে চাইলাম কোথায় হ্যান্ডসেট পাব। সে বলল অপেক্ষা করতে তার পরিচিত এক লোক আমাকে সহযোগীতা করবে। আসল এক লোক, বয়স ৩৫ এর মত হবে, জানতে চাইল কি চাই, সে ব্যাবস্থা করে দিতে পারবে কিন্তু ২০ ইউরো লাগবে। আমি বললাম ১০ ইউরোতে দিতে পারব এবং অরিজিনাল হতে হবে। সে ১৫ ইউরোতে রফাদফা করতে চেয়েছিল, আমিও নাছোড় বান্দা ছিলাম ১০ থেকে ১১ পর্যন্ত যাই নি। শেষ পর্যন্ত রাজী হল, আমায় অপেক্ষায় রেখে একটি পুরোনো স্যামসং এর হ্যাডফোন নিয়ে এল। আমায় সম্ভবত বলদ মনে করিছিল। যাই হোক একটু কথা কাটা-কাটি করে মুখের উপর ফেলে চলে আসলাম। অষ্ট্রিয়ানদের বাপ-দাদা মনে মনে উদ্ধার করছিলাম।
এমন সময় পেছন থেকে সাইকেলে চেপে সে এসে আমায় একটা হ্যান্ডসেট প্যাকেট করা দিয়ে বলল দাও ১০ ইউরো। আমি পরীক্ষা করে দেখলাম, এটা আসল কিনা। সে সম্ভবত আমার মন পড়তে পাড়ছিল, সে বলা শুরু করল “আমি তোমাকে এই দামে দিতামনা হ্যান্ড সেটটি, শুধু দিলাম তুমি অষ্ট্রিয়ানদের মন থেকে খারাপ ভাবে গ্রহণ করবে, এবং যতদিন আমাদের কথা মনে পড়বে ততদিন ঘৃণা করবে। আমি অপরাধ করেছি, আমার দেশ নয়। আমাকে ক্ষমা করো।” দেশের প্রতি ভক্তি দেখে আমি অভিভুত হলাম।
বিকালে যখন হাটছিলাম তখন ক্যামেরার ব্যাগ থেকে হোটেলের এক্সেস কার্ডটা পড়ে গেছে, আমি খেয়াল করিনাই। একটা মেয়ে প্রায় অনেক দূর থেকে দৌড়ে এসে আমাকে কার্ডটি দিয়ে গেল। কি যেন ওর ভাষায় বলছিল, কিছুই বুঝলামনা। আমার ইংরেজীও সে বুঝতে পারছিলনা। যাই হোক ধন্যবাদ দিলাম, ও তা গ্রহন করে উল্টো পথে চলা শুরু করল।
আমরা কি কখনো পারবো না, এদের মত নিজেদের খোলস থেকে বের হয়ে দেশের জন্য কিছু করতে। শুধু দেশের নামের জন্য এইটুকু না হয় ছাড় দিলাম। ভেবে দেখেন আজ আমি এখান থেকে চলে আসলেই; সত্যিই অষ্ট্রিয়ানদের সম্পর্কে খারাপই লেখা হত আমার প্রতিটি লিখাই। সে সেটা চায়নি, সে জানে না আমি কে, কোথায় থাকি, কি করি ইত্যাদি ইত্যাদি। সে শুধু জানে, সে যা করেছে তা খুবই খারাপ এবং আমি একজন ট্যুরিষ্ট। সে কিন্তু তার গ্লানী দূর করতে পেরেছে। আমরা কি পারবো?
এখন বসে “Almdudlee” এনজয় করছি। আর লম্বা লেকচার লিখছি।
আমার ভবিষ্যৎ লিখাগুলোতে আমাদের টিমের কিছু মজার মানুষের কথা লিখব। যাদের সংস্পর্শে এসে নিজেকে একা মনে হয়নি; মনে হচ্ছে একটি পরিবারের মধ্যে আছি।
আমার বাংলা ভাষা লিখার ক্ষেত্রে, বাংলীশ হয়ে যাচ্ছে, সেটা আমি বুঝতে পারছি। কিছু কিছু জায়গায় সঠিক বাংলা শব্দ মাথায় ধরা না দেওয়ায় ইংরেজী শব্দগুলো বাংলাই লিখছি। এক সময় আমি পত্রিকায় এডিটিং এ কাজ করতাম। আমার বাংলা লেখার হাত খারাপ ছিলনা। বানানে এখন অনেক ত্রুটি দেখছি, অনেকদিনে অনভ্যস্ততায় এই ভুলের সঞ্চার।